লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী আল জামিয়াতুল ইসলামীয়া তাদরীসুল কোরআন দারুল উলুম মাদ্রাসার এক এতিম ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,ওই ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম খলিল (১৫) হাফেজিয়া শাখার এক ছাত্রের মোবাইল ফোনের চার্জার দিয়ে তার ব্যবহৃত টর্চ লাইটে চার্জ দেয়। চার্জ শেষে মোবাইল থেকে চার্জার খোলার সময় চার্জারের তার ছিড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম (২৮) এতিম শিশু ইব্রাহিম খলিলকে পিটিয়ে আহত করে। তার পিটুনিতে এতিম শিশুর চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও চিৎকার করতে থাকে।
খবর পেয়ে তার মা মমেনা বেগম তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে তাকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে এতিম শিশু ইব্রাহিম খলিলের মা বাদী হয়ে ১২ আগষ্ট রাতে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
শিশু খলিলের মা সাংবাদিকদের সামনে কাঁন্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার এতিম শিশুকে যেভাবে মারধর করেছে তাতে আমার ছেলে মারাও গেল হয়। আমার বিচার করার কেউ নাই।
মাদ্রাসার পরিচালক ও মোহতামিম জিয়াউর রহমানের মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।